আগে থেকেই নিশ্চিত যে এই বিপিএলে তিনি কিছুতেই খেলতে পারবেন না। পারার কথাও নয়। ইংল্যান্ড থেকে কাঁধের অস্ত্রোপচার করিয়ে এসে দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে পুরোদমে বোলিং ফিটনেস ফিরে পাওয়া সম্ভবই নয়। তাই বিপিএলের আইকন ক্রিকেটারদের তালিকা কিংবা প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাঁর নাম ছিলই না। না থেকেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঠিক মাঠে হাজির। তাও আবার ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সি গায়ে।
গ্যালারি বা অন্য কোথাও ঢাকার জার্সিতে ’কাটার মাস্টার’-কে দেখা গেলে তবু কথা ছিল। তিনি একেবারে সরাসরি মাঠে। ঢাকার ড্রেসিংরুমের পাশেই দল মালিক বেক্সিমকোর শায়ান এফ রহমান ও এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিইও ওবায়েদ নিজামের সঙ্গে বাউন্ডারি রোপের বাইরে সোফায় বসা তিনি। কী করে ওখানে বসলেন? সোজা উত্তর ক্ষমতার জোরে। কারণ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বেক্সিমকোর চাকুরে। বোর্ডের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মকর্তা ইসমাইল হায়দার মল্লিকও। ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যানেজার আজিজুর রহমানও চাকরি করেন বেক্সিমকোতে। তাই কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই মুস্তাফিজকে দিব্যি মাঠে নিয়ে আসা যায়।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নিয়মানুযায়ীও এভাবে কারো মাঠে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাহলে কী করে ঢুকলেন? ওই যে ক্ষমতার জোর। এই জোরের কাছে নিয়মনীতি অসহায়। ঢাকার ম্যানেজার অবশ্য বলতে চাইলেন যে, ‘ও গতবার আমাদের দলেই ছিল। এবার ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও আমরা ওকে নিয়ে এসেছি দলকে উজ্জীবিত করার জন্য।’