‘শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন, রাস্তা ফাঁকা থাকে, এই দিনগুলোতে অপরাধীদের বিশেষ টার্গেট ফাঁকা রাস্তায় যেকোনো অপরাধ করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া। তাই আমাদের তৎপরতা বাড়ে, অন্য দিনের চেয়ে এই দিনগুলোতে তল্লাশি বেশি চালানো হয়, সব যানবাহনে তল্লাশি চালানো হলেও টার্গেট থাকে মোটরসাইকেল’।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা, বনানী সিগন্যালে দায়িত্বরত অবস্থায় এভাবে নিরাপত্তার তল্লাশি সম্পর্কে অবগত করছিলেন পুলিশ সার্জেন্ট রাইসুল হাকিম। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে তার কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী সিগন্যাল দিয়ে উত্তরায় চলাচলরত যেকোনো যানবাহনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের ওপর নজরদারি বেশি।
সার্জেন্ট রাইসুল বলেন, বিশেষ কোনো কারণে নয়, প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি। তবে ছুটির দিন হওয়াতে তৎপরতা বেশি।
মোটরসাইকেলের ওপর নজদারি বেশি কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়ে যেকোনো অপরাধ করে সহজেই পার পাওয়া যায়। তাই নজরদারি আগেও ছিল, এখনও আছে।
তল্লাশির সময় কথা হয় মোটরসাইলেক চালক মো. রাব্বী হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, তল্লাশির সময় একটু বিব্রত মনে হলেও পরবর্তীতে মনে হলো নিরাপত্তার স্বার্থে করা হচ্ছে। পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি।
একই সময়ে কথা হয় প্রাইভেটকারের ড্রাইভার আবু ইব্রাহীমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তায় চলাচলরত অবস্থায় প্রায় সময় এই তল্লাশির মুখে পড়তে হয়।
নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বশেষ কথা হয় সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা নগরবাসীর সেবায় আমরা জাগ্রত। আপনারা জানেন বনানী, গুলশান একটি ভিআইপি এলাকা। আর তাই এখানে নজরদারি অন্য এলাকার চেয়ে বেশি।