গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা জল্পনা-কল্পনা শেষে গঠন করা হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির ১০ জনের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাদের নিয়োগ দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন। রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন নির্বাচন কমিশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত একজন এবং প্রধান রাজনৈতিক বিরোধীদল বিএনপির প্রস্তাবিত একজন স্থান পেয়েছেন। তবে নতুন সিইসি কে এম নুরুল হুদার নাম আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রস্তাবে ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কে এম নুরুল হুদার নাম প্রস্তাব করেছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। আর কমিশনার হিসেবে সাবেক এই সচিবের নাম প্রস্তাব করেছিল জাতীয় পার্টি ও বিএনএফ। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেছিল সাম্যবাদী দল। সাবেক সচিব রফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাবকারী দলের নাম জানা যায়নি।
সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তালিকা থেকে দুই জন করে প্রস্তাব করেছিল। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রস্তাব করা পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ও বিএনপির প্রস্তাব করা অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের নাম বাদ পড়ে।
নতুন সিইসি নুরুল হুদা বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা। তিনি বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যুগ্ম সচিব থাকা অবস্থায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। পরে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০০৯ সালে ভূতাপেক্ষ সচিব হন। সাবেক এই আমলা চাকরিজীবনে ফরিদপুর ও কুমিল্লার জেলার প্রশাসক ছিলেন। এ ছাড়া যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ছিলেন।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (বিএমবিএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া বিলুপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র কে এম নুরুল হুদার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফলে।