নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হলে সরকারি ৪ লাখ ডলার বেতন নেবেন না তিনি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ হ্যাম্পশায়ারে দ্ওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে আমি কোনো বেতন নেব না। এটা আমার জন্য বড় কোনো বিষয় নয়। এখন নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর তার এই কথাটি আবারো সামনে এসেছে। বিশেষত পশ্চিমা মিডিয়ায় বারবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, ট্রাম্প এখন কি করবেন? তার কথা রাখবেন, নাকি এই ক্ষেত্রেও কথা না রেখে গতানুগতিক ধারায় অন্য প্রেসিডেন্টদের পথেই হাঁটবেন।
এ বিষয়ে টুইটারের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে একজন ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন প্রেসিডেন্টের বেতনের বিষয়ে। এ সময় ট্রাম্প জানান, বেতন নিয়ে আমার যা ভাবনা তাহলো, আমি সেখান থেকে ১ ডলারও নেব না। প্রেসিডেন্ট হলে আমি আমার সম্পূর্ণ বেতন ফিরিয়ে দেব। একই ভিডিওতে ট্রাম্প বলেন, আমার ক্যাম্পেইনের সম্পূর্ণ খরচ আমি নিজেই দেব। আমি টাকার মতো ছোটখাট বিষয় নেব না।
বিজনেস ইনসাইডার জানায়, এরপর অবশ্য রিপাবলিকানদের জন্য ডোনেশন সংগ্রহ শুরু করেন ট্রাম্প। আর সে কারণেই তার বেতন নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। উল্লেখ্য, এর আগে কয়লাখনি থেকে বড় আয় করে ১৯২৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হার্বার্ট হুভার এবং বেশ ধনী পরিবারের সদস্য ছিলেন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। এরা দুজনই তাদের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্ধারিত বেতন দাতব্য কাজে দান করেছিলেন।