চা বিরতির পর একে একে পাঁচটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই রিপোর্ট লেখার সময় ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দল ইংল্যান্ড। ২৭৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে তারা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রানে চা বিরতিতে যায় তারা। এরপর মেহেদীর আঘাতে বিপদে বসবাস তাদের। ২৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। বেন স্টোকস (১) ও জনি বেয়ারস্টো (০) এখন ক্রিজে।
বেন ডাকেট (৫৬) ও অ্যালিস্টার কুক (৫৯) চা বিরতির আগে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের স্পিনারদের। কিন্তু ফিরে প্রথম বলেই মেহদী দারুণ এক বলে বোল্ড করে দিয়েছেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ডাকেটকে। পরের ওভারে ইংলিশদের সেরা ব্যাটসম্যান জো রুট (১) নিজের দ্বিতীয় বলেই সাকিবের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার। ১৯টি রান এরপর নিরাপদেই তোলে ইংলিশরা। কিন্তু এক ওভারে চার বলের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে টিনএজার মেহেদী ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে। এবার গ্যারি ব্যালান্স (৫) তাকে তুলে মেরে মিড অফে ক্যাচ দেন। মঈন আলি (০) এলবিডাব্লিউর শিকার। দুই দফা রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক কুক। কিন্তু জোড়া আঘাতের পরের ওভারে মেহেদীর বলে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার কুক। দারুণ অবস্থায় চলে যায় স্বাগতিকরা। সবশেষ আবার মেহেদীর বলে ক্যাচ তুলে দেন জনি বেয়ারস্টো। আর এই নিয়ে আবার ৫ উইকেট নেন মেহেদীা
এই ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় দিনের লাঞ্চের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে। এশিয়ায় এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ২০৯ এর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই ইংলিশদের। ২০১০ সালে এই মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ওই রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১২৮ রানের লিড নিয়ে রবিবার তৃতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের। ৩ উইকেটে তখন ১৫২ রান। আর ১৪৪ রান তুলেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে। এর ১১৬ রান আসে প্রথম সেশনে। ওই সেশনে উইকেট পড়ে ৪টি। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
আগের দিন তামিম ইকবাল ৪০ ও মাহমুদ উল্লাহ ৪৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন। ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ওপেনার ইমরুল কায়েস ইমরুল কায়েস ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৮ রানে আউট হয়েছেন সকালে। তার ১২০ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি। সাকিব আল হাসান ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেছেন ৪১ রান। বিশেষ উল্লেখযোগ্য আট নম্বরে ব্যাট করে শুভাগত হোমের ২৮ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস। যেখানে বাউন্ডারি ৪টি। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বি। আগের তিন ইনিংসেই ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। শেষ উইকেট জুটিতে শুভাগতর সাথে রাব্বির ২০ রান বাংলাদেশের লিড বাড়িয়েছে। ওই জুটির তাই মূল্য দারুণ। আদিল রশিদ ৪ ও বেন স্টোকস ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মূল ক্ষতিটা করেছেন।