জিততে শেষ ওভারে ৭ রান দরকার রাজশাহী কিংসের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এ আর এমন কি! হাতে তাদের ৩ উইকেট। ম্যাচে তার আগে মাত্র ১ ওভার করা খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ নিজের ওপরই বাজি ধরলেন। শেষ ওভারটিতে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৪ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয় এক জয় তুলে আনলেন। শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল রাজশাহীর। কিন্তু মাহমুদ উল্লাহর কারণেই শেষ বলে তারা রান আউট ১৩০ রানে! আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান করেছিল রাজশাহী।
বিপিএলের ম্যাচে এদিন মিরপুরে রাজশাহীর পেসার আবুল হাসান ৫ উইকেট নিলেন ২৮ রানে। তাতেই রাজশাহীর বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা শেষ হয়। এরপর তারা ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায়। ড্যারেন স্যামি (৩১) ও ওপেনার মুমিনুল হক (৬৪) ম্যাচটা জিতিয়ে দিচ্ছিলেন রাজশাহীকে। ৪ উইকেটে ১১ রান ছিল তাদের। তখন ১৮ বলে ২৩ রান দরকার তাদের। কিন্তু শফিউল ইসলাম এক ওভারে স্যামি ও মুমিনুলকে ফেরান। প্রথম ৩ উইকেট শিকারী পাকিস্তানি জুনায়েদ খান চতুর্থ শিকার বানান ফরহাদ রেজাকে।
এরপর শেষ ওভারের হিসেব। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ এই ম্যাচে আগে ১ ওভার করে ৪ রান দিয়েছেন। তিনিই বল হাতে তুলে নিলেন। প্রথম ২ বলে ২ রান। পরেরটি ওয়াইড। আবুল হাসান (৩) তুলে মেরে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের বলে মোহাম্মদ সামি বোল্ড! পরের বল ডট! শেষ বলে ৪ রান দরকার রাজশাহীর! নাজমুল ইসলাম মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার! প্রতিপক্ষের হাতের মুঠো থেকেই ম্যাচ বের করে এনে দলকে জেতালেন মাহমুদ উল্লাহ। ব্যাট হাতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান তিনি করেছিলেন ২১ বলে। ৩ চার ও ১ ছক্কায়। অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচের সেরা তিনিই।