বাংলদেশের কমিউনিস্ট পাটির (সিপিবি) সভাপতি পদে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। গত শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী কংগ্রেস গতকাল সোমবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের পাশাপাশি গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে একের পর এক ভোটের কারণে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কংগ্রেসের অধিবেশন শেষ হয়েছে।
পার্টির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, বর্তমান সভাপতি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলমকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। আর পার্টির ১০ সদস্যের প্রেসিডিয়াম প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। সেখানে বর্তমান প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ পড়েছেন আলতাফ হোসেন, শামসুজ্জামান সেলিম এবং আহসান হাবিব লাবলু। আর নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মিহির ঘোষ, শাহীন রহমান এবং অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন। এ ছাড়া পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, হায়দার আকবর খান রনো, শাহ আলম, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং মো. লায়েকুজ্জামান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কংগ্রেসের সমাপনী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হয়। গোপন ভোটে ৪৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৪৩ জন নির্বাচিত করা হয়। এদের মধ্য থেকে ১০ সদস্যের প্রেসিডিয়াম নির্বাচিত হন। নির্বাচিত বাকি সদস্যরা হলেন আলতাফ হোসেন, শামসুজ্জামান সেলিম, আহসান হাবিব লাবলু, অধ্যাপক এম এম আকাশ, মৃণাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, অধ্যাপক এনামুল হক, ডা. দিবালোক সিংহ, মাহবুব আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, এ এন রাশেদা, এমদাদুল হক মিল্লাত, মনিরা বেগম অনু, আব্দুল কাদের, ডা. ফজলুর রহমান, এ কে আজাদ, শাহরিয়ার মো. ফিরোজ, ইসমাইল হোসেন, অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ, মাকসুদা আক্তার লাইলি, কাজী রুহুল আমিন, জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, এস এ রশীদ, রাগীব মুন্না, ডা. মনোজ দাশ, আব্দুল্লাহ-আল কাফি রতন, সাজেদুল হক রুবেল, আমিনুল ফরিদ, অভিন্যু কিবরিয়া, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, লুনা নূর এবং আজহারুল ইসলাম আরজু।
সূত্র জানায়, কংগ্রেসে নতুন কমিটির পাশাপাশি গঠনতন্ত্র সংশোধনী নিয়ে একাধিকবার ভোট করতে হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রায় সমান দুটি ধারা লক্ষ্য করা গেছে। তারপরও বাম বিকল্প শক্তিকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে মৌলবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রাম গড়ে তোলার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।