সরকারি কোষাগারে ২৮০০ কোটি টাকা জমা দেয়ার শর্তে জামিন মিলবে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হোসেনের।
রোববার (১৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডির পক্ষে শুনানি করেন আজমালুল হোসেন কিউসি। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত ডেসটিনির এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জামা দিতে আদেশ দিয়েছে। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান তা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বণ্টন করবে। ডেসটিনিকে এই গাছ বিক্রিতে এমডি ও চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাসিমপুর কারাগারের জেলারকে সহযোগিতা করার আদেশও দিয়েছে আদালত।
গত ২০ জুলাই ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানকে জামিন দেয় হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। ওই জামিন শুনানি স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক।
তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ প্রতিষ্ঠানটির ২২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৪ সালের ৪ মে এ দুই মামলায় অভিযোপত্র দেয় দুদক। দুই মামলার মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লি.-এর মামলার অভিযোগপত্রে এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলাটি হয় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন নিয়ে। এই মামলার অভিযোগপত্রে ২১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ৪৬ জনকে। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলার আসামি ১৯ জন। দুই মামলার অভিন্ন আসামি ১৪ জন। দুই মামলারই প্রধান আসামি রফিকুল আমিন। দুই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৫০ জনকে।